শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। সীমান্তের কাছা-কাছি এলাকায় টানা বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা। অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে নিক্ষেপ করা গুলি, মর্টার শেল, বারুদ এসে পড়েছে সীমান্তের এপারেও। এতে এক বাংলাদেশী নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। বারুদে পুঁড়ে গেছে স্থানীয়দের একটি বসত ঘর। এছাড়া অনেক বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চরম আতংকিত হয়ে পড়েছে সীমান্তে বসবাসকারিরা। এ পরিস্থিতিতে আবারও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা।
শনিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বিস্ফোরণের শব্দ রবিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ।
তিনি জানান, দুপুরে যে সংঘর্ষের শব্দ ও পরিস্থিতি বুঝা যাচ্ছে, তাতে তুমব্রæ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর এক ফাঁড়ি ঘীরে। যেখানে ওই ফাঁড়ি ঘীরে মিয়ানমারের বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠির তুমুল সংঘর্ষ, গোলা-গুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। যা মাঝে-মধ্যে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে আসছে এপারেও।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম সীমান্তে আতংক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে এখনো বলা যাচ্ছে না।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply